0 item

৳ 0

whatsapp--v1

চুইঝালের আচার ৪০০ গ্রাম

৳ 490
- +
Short Description

চুইঝাল একটি জনপ্রিয় মসলা যা বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের খাবারগুলিতে ব্যবহৃত হয়। আমরা চুইঝাল দিয়ে মজাদার এই আচার টা বানিয়েছি আমাদের নিজস্ব কিচেনে।  

এই আচার এতটাই সস্বাদু আমরা এটাকে আঁচারের রাজা বলে থাকি। আপনি কোন তরকারী ছাড়াই শুধু এই চুইঝালের আচার দিয়ে এক প্লেট ভাত খেয়ে নিতে পারবেন অনায়াসে।

আর যে কোন তরকারির স্বাদ দিগুন বাড়িয়ে দিবে মজাদার এই চুইঝালের আচার।

চুইঝালের উপকারিতাগুলি নিম্নরূপ:

  1. হজমশক্তি বৃদ্ধি: চুইঝালে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে, যা খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণভাবে শোষণ করতে সহায়ক।

  2. প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: চুইঝালে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।

  3. ব্যথা উপশম: চুইঝাল ব্যথা উপশমে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে বাতজনিত বা বিভিন্ন শারীরিক ব্যথার ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ করা হয়।

  4. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: চুইঝাল নিয়মিত সেবন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমানোর উপাদান রয়েছে।

  5. শ্বাসকষ্ট উপশম: শ্বাসকষ্ট বা সর্দি-কাশি জনিত সমস্যায় চুইঝাল উপকারী হতে পারে, কারণ এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেলগুলো শ্বাসকষ্ট উপশমে সহায়ক।

চুইঝাল শুধু মসলার উপকরণ হিসেবে নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

Term And Condition...

সালটা ২০২০ এর মার্চ। করোনার ভয়াল থাবায় সারা পৃথিবী বন্ধ হয়ে আছে। সবাই প্রায় গৃহবন্দী সকল অফিস, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় অচল। আমাদের একটা বিজনেস মাত্র আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু করোনার জন্য হঠাৎ করেই অমানিশার মাঝে পড়ে গেলাম।

ঢাকা শহরের জীবন, দম নিলেও টাকার দরকার পড়ে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়না। কি হবে কি হবে ভেবেই দিন যাচ্ছে। আমরা হাসবেন্ড-ওয়াইফ দুইজন মিলে প্রতিটি দিন প্লান করি যে চলমান বিজনেস টা যদি অফ হয়ে যায় তাহলে কি করবো। আমার বেটার হাফ এর মন খুবই খারাপ কেননা এই কস্টের সময়ে সে আমাকে কোন সাহায্য করতে পারছেনা। পরে আমরা দুইজনেই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেই,  যেহেতু ও খুব ভালো রান্না করে এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা হোমমেড ফুড অনলাইনে সেল করতে পারি।

যা ভাবা সেই মত শুরু করলাম। প্রথমে এটা ওটা যখন যা মনে হয় ওটাই বানাই ছবি তুলে হোমমেড ফুড এর একটা অনলাইন প্লাটফর্ম আছে ওখানে পোস্ট দেই। সপ্তাহে দুইচার টা অর্ডার পাই কিন্তু তাতে মন ভরেনা। ভাবি এভাবেই চললে বড়  কিছুই হবেনা। এভাবেই প্রায় ৪-৫ মাস চলার পরে ২০ জুলাই ২০২০ এ আমরা ফেসবুকে একটা পেজ খুলার সিদ্ধান্ত নেই।  ওখানে বিভিন্ন খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় উদ্যোক্তা দের ফেসবুক গ্রুপগুলো তে খাবারের পোস্ট শেয়ার করতে থাকি। ওখান থেকে কিছু কিছু অর্ডার আসতে থাকে। কিন্তু মাথায় শুধু একটাই চিন্তা এই ব্যাবসা কে কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। যেহেতু আমার আগের বিজনেস টার সুবাদে ফেসবুক এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কিছু ধারণা ছিল এটাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করি। কিন্তু মনে মনে ভাবি যে বিজ্ঞাপন দিয়ে কি খাবার সেল হবে কিনা? তবুও টেস্ট করতে চাইলাম। আমাদের সবচে জনপ্রিয় বা সিগনেচার আইটেম চিংড়ি বালাচাও টার একটা বিজ্ঞাপন রেডি করলাম। এর মাঝামাঝি আমি নতুন চাকরি খুজছি সারভাইভাল এর জন্য। কারন ফ্যামিলি নিয়ে তো টিকে থাকতে হবে। 

যাই হোক কোনরকমে কিছু টাকার ম্যানেজ করে ফেসবুকে এড দেই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো সাড়া আসতে থাকে। তবে এই বিজনেস টা এতদুর আসার জন্য আমার ওয়াইফ এর অনেক স্যাক্রিফাইস আছে। ও আমার পাশে না থাকলে কখনোই এই পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিলনা।  জীবনের কঠিন মুহুর্ত গুলোতে যদি আপনার পাশে একজন ভালো পার্টনার থাকে তাহলে আপনি সব পারবেন।

প্রথমে আমরা চিংড়ি  বালাচাও দিয়েই শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট যুক্ত হয়েছে।
তবে সর্বপরি একটা কথা বলতেই হবে আমাদের কাস্টমার দের সাপোর্ট সবসময় আমাদের সাথেই ছিল। আপনারা ও আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এতদূর আসতে সাহস যুগিয়েছে। আমরা সব সময় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের ভুল ভ্রান্তি কে উপেক্ষা করে আমাদের পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

View All >>

You Might Also Like