Short Description
কালোজিরে এবং রসুনের আচার গরম ভাতে খেতে অসাধারণ স্বাদের। খাদ্য হিসেবে এই দুটি জিনিসের অনেক উপকারিতা। এই দুটি উপাদানই প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক।
কালোজিরে ও রসুনের উপকারিতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কালোজিরে এবং রসুন উভয়ই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: রসুন রক্তের কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে সাহায্য করে এবং কালোজিরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পাচনতন্ত্রের উন্নতি: রসুন ও কালোজিরে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং গ্যাস, বদহজম, বা অন্য কোন পাচনতন্ত্রের সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
প্রদাহ নিরোধ: কালোজিরে এবং রসুন প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এটি শরীরে প্রদাহজনিত যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: এই দুটি উপাদান রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
ত্বকের যত্ন: কালোজিরে এবং রসুন উভয়ই ত্বকের জন্য উপকারী। এগুলো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, ইনফেকশন, এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
এই উপাদানগুলো নিয়মিত খাবারের সাথে যুক্ত করলে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব।
Term And Condition...
সালটা ২০২০ এর মার্চ। করোনার ভয়াল থাবায় সারা পৃথিবী বন্ধ হয়ে আছে। সবাই প্রায় গৃহবন্দী সকল অফিস, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় অচল। আমাদের একটা বিজনেস মাত্র আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু করোনার জন্য হঠাৎ করেই অমানিশার মাঝে পড়ে গেলাম।
ঢাকা শহরের জীবন, দম নিলেও টাকার দরকার পড়ে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়না। কি হবে কি হবে ভেবেই দিন যাচ্ছে। আমরা হাসবেন্ড-ওয়াইফ দুইজন মিলে প্রতিটি দিন প্লান করি যে চলমান বিজনেস টা যদি অফ হয়ে যায় তাহলে কি করবো। আমার বেটার হাফ এর মন খুবই খারাপ কেননা এই কস্টের সময়ে সে আমাকে কোন সাহায্য করতে পারছেনা। পরে আমরা দুইজনেই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেই, যেহেতু ও খুব ভালো রান্না করে এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা হোমমেড ফুড অনলাইনে সেল করতে পারি।
যা ভাবা সেই মত শুরু করলাম। প্রথমে এটা ওটা যখন যা মনে হয় ওটাই বানাই ছবি তুলে হোমমেড ফুড এর একটা অনলাইন প্লাটফর্ম আছে ওখানে পোস্ট দেই। সপ্তাহে দুইচার টা অর্ডার পাই কিন্তু তাতে মন ভরেনা। ভাবি এভাবেই চললে বড় কিছুই হবেনা। এভাবেই প্রায় ৪-৫ মাস চলার পরে ২০ জুলাই ২০২০ এ আমরা ফেসবুকে একটা পেজ খুলার সিদ্ধান্ত নেই। ওখানে বিভিন্ন খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় উদ্যোক্তা দের ফেসবুক গ্রুপগুলো তে খাবারের পোস্ট শেয়ার করতে থাকি। ওখান থেকে কিছু কিছু অর্ডার আসতে থাকে। কিন্তু মাথায় শুধু একটাই চিন্তা এই ব্যাবসা কে কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। যেহেতু আমার আগের বিজনেস টার সুবাদে ফেসবুক এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কিছু ধারণা ছিল এটাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করি। কিন্তু মনে মনে ভাবি যে বিজ্ঞাপন দিয়ে কি খাবার সেল হবে কিনা? তবুও টেস্ট করতে চাইলাম। আমাদের সবচে জনপ্রিয় বা সিগনেচার আইটেম চিংড়ি বালাচাও টার একটা বিজ্ঞাপন রেডি করলাম। এর মাঝামাঝি আমি নতুন চাকরি খুজছি সারভাইভাল এর জন্য। কারন ফ্যামিলি নিয়ে তো টিকে থাকতে হবে।
যাই হোক কোনরকমে কিছু টাকার ম্যানেজ করে ফেসবুকে এড দেই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো সাড়া আসতে থাকে। তবে এই বিজনেস টা এতদুর আসার জন্য আমার ওয়াইফ এর অনেক স্যাক্রিফাইস আছে। ও আমার পাশে না থাকলে কখনোই এই পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিলনা। জীবনের কঠিন মুহুর্ত গুলোতে যদি আপনার পাশে একজন ভালো পার্টনার থাকে তাহলে আপনি সব পারবেন।
প্রথমে আমরা চিংড়ি বালাচাও দিয়েই শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট যুক্ত হয়েছে।
তবে সর্বপরি একটা কথা বলতেই হবে আমাদের কাস্টমার দের সাপোর্ট সবসময় আমাদের সাথেই ছিল। আপনারা ও আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এতদূর আসতে সাহস যুগিয়েছে। আমরা সব সময় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের ভুল ভ্রান্তি কে উপেক্ষা করে আমাদের পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।