0 item

৳ 0

whatsapp--v1

গরুর মাংসের আচার ৪০০ গ্রাম

৳ 790
- +
Short Description

গরুর মাংসের আচার

গরুর মাংসের আচার একটি মসলাদার এবং সুগন্ধযুক্ত আচার, যা বিশেষভাবে তৈরি করা হয় গরুর মাংসপ্রেমী এবং ব্যাচেলরদের জন্য। যারা গরুর মাংস খেতে পছন্দ করেন বা রান্নার সময় না পেয়ে ইন্সট্যান্ট সমাধান খোঁজেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ। শুধু ভাত বা পরোটা নয়, কোনো ঝটপট খাবারের সঙ্গেও এই আচার মুহূর্তেই আপনার খাবারকে সুস্বাদু করে তুলবে।

আমাদের আচার বাসার কিচেনে খুব যত্নসহকারে তৈরি করা হয়। এতে ব্যবহৃত হয় উচ্চ মানের মসলা ও তাজা উপাদান, যা প্রতিটি চামচে মাংসের খাঁটি স্বাদ ধরে রাখে। আমাদের আচার কৃত্রিম সংরক্ষণশীল মুক্ত, তাই এটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর।

স্বাদ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  1. ঝটপট সমাধান: রান্না না থাকলে বা সময়ের অভাবে, আমাদের গরুর মাংসের আচার হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রিয় খাবারের সহজ সমাধান।
  2. প্রোটিন সমৃদ্ধ: মাংসের উচ্চ প্রোটিন আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।
  3. বাসার কিচেনে যত্ন সহকারে তৈরি: ঘরের মমতা দিয়ে আমাদের আচার প্রস্তুত করা হয়, যা স্বাদে ও মানে কোনো আপোষ করে না।

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  1. প্রোটিন সমৃদ্ধ: গরুর মাংসে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, যা শরীরের পেশি গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

  2. লোহা ও ভিটামিন B: মাংসে থাকা লোহা ও ভিটামিন B হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং শরীরের শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।

  3. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মসলা: এতে ব্যবহৃত মসলা যেমন হলুদ ও জিরা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকাল দূর করতে সাহায্য করে।

  4. সংরক্ষণশীল নয়: এই আচারে কোনো কৃত্রিম সংরক্ষণশীল পদার্থ নেই, যা একে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ করে তোলে।

এই আচার শুধু সহজে খাওয়ার জন্য নয়, বরং এর প্রতিটি গ্রাসে পাবেন ঘরোয়া স্বাদ এবং পুষ্টি।

Term And Condition...

সালটা ২০২০ এর মার্চ। করোনার ভয়াল থাবায় সারা পৃথিবী বন্ধ হয়ে আছে। সবাই প্রায় গৃহবন্দী সকল অফিস, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় অচল। আমাদের একটা বিজনেস মাত্র আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু করোনার জন্য হঠাৎ করেই অমানিশার মাঝে পড়ে গেলাম।

ঢাকা শহরের জীবন, দম নিলেও টাকার দরকার পড়ে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়না। কি হবে কি হবে ভেবেই দিন যাচ্ছে। আমরা হাসবেন্ড-ওয়াইফ দুইজন মিলে প্রতিটি দিন প্লান করি যে চলমান বিজনেস টা যদি অফ হয়ে যায় তাহলে কি করবো। আমার বেটার হাফ এর মন খুবই খারাপ কেননা এই কস্টের সময়ে সে আমাকে কোন সাহায্য করতে পারছেনা। পরে আমরা দুইজনেই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেই,  যেহেতু ও খুব ভালো রান্না করে এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা হোমমেড ফুড অনলাইনে সেল করতে পারি।

যা ভাবা সেই মত শুরু করলাম। প্রথমে এটা ওটা যখন যা মনে হয় ওটাই বানাই ছবি তুলে হোমমেড ফুড এর একটা অনলাইন প্লাটফর্ম আছে ওখানে পোস্ট দেই। সপ্তাহে দুইচার টা অর্ডার পাই কিন্তু তাতে মন ভরেনা। ভাবি এভাবেই চললে বড়  কিছুই হবেনা। এভাবেই প্রায় ৪-৫ মাস চলার পরে ২০ জুলাই ২০২০ এ আমরা ফেসবুকে একটা পেজ খুলার সিদ্ধান্ত নেই।  ওখানে বিভিন্ন খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় উদ্যোক্তা দের ফেসবুক গ্রুপগুলো তে খাবারের পোস্ট শেয়ার করতে থাকি। ওখান থেকে কিছু কিছু অর্ডার আসতে থাকে। কিন্তু মাথায় শুধু একটাই চিন্তা এই ব্যাবসা কে কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। যেহেতু আমার আগের বিজনেস টার সুবাদে ফেসবুক এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কিছু ধারণা ছিল এটাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করি। কিন্তু মনে মনে ভাবি যে বিজ্ঞাপন দিয়ে কি খাবার সেল হবে কিনা? তবুও টেস্ট করতে চাইলাম। আমাদের সবচে জনপ্রিয় বা সিগনেচার আইটেম চিংড়ি বালাচাও টার একটা বিজ্ঞাপন রেডি করলাম। এর মাঝামাঝি আমি নতুন চাকরি খুজছি সারভাইভাল এর জন্য। কারন ফ্যামিলি নিয়ে তো টিকে থাকতে হবে। 

যাই হোক কোনরকমে কিছু টাকার ম্যানেজ করে ফেসবুকে এড দেই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো সাড়া আসতে থাকে। তবে এই বিজনেস টা এতদুর আসার জন্য আমার ওয়াইফ এর অনেক স্যাক্রিফাইস আছে। ও আমার পাশে না থাকলে কখনোই এই পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিলনা।  জীবনের কঠিন মুহুর্ত গুলোতে যদি আপনার পাশে একজন ভালো পার্টনার থাকে তাহলে আপনি সব পারবেন।

প্রথমে আমরা চিংড়ি  বালাচাও দিয়েই শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট যুক্ত হয়েছে।
তবে সর্বপরি একটা কথা বলতেই হবে আমাদের কাস্টমার দের সাপোর্ট সবসময় আমাদের সাথেই ছিল। আপনারা ও আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এতদূর আসতে সাহস যুগিয়েছে। আমরা সব সময় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের ভুল ভ্রান্তি কে উপেক্ষা করে আমাদের পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

View All >>

You Might Also Like