0 item

৳ 0

whatsapp--v1

নাগা মরিচের আচার-৪০০ গ্রাম

৳ 490
- +
Short Description

নাগা মরিচের আচার আমাদের অতি জনপ্রিয় একটি আচার, যা ঝাল প্রেমিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এই আঁচারে রয়েছে আসল নাগা মরিচের তীব্র স্বাদ, যা প্রতিটি কামড়ে এনে দেয় উত্তেজনাময় ঝাল ও সুগন্ধি। আমাদের নাগা মরিচ আচার সম্পূর্ণ ঘরোয়া কিচেনে হাতে তৈরি, যেখানে খাঁটি সরিষার তেল, মশলা, আর বাছাই করা নাগা মরিচ ব্যবহার করা হয়েছে।

এটি যে কোনও খাবারের সাথে পরিবেশন করলে, স্বাদের বৈচিত্র্য যোগ করে। আপনি যদি ঝাল পছন্দ করেন এবং খাবারে আলাদা মাত্রা যোগ করতে চান, তবে এই আচার আপনার জন্য সেরা পছন্দ। এটি সংরক্ষণে সহজ এবং দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে, যা আপনাকে ঝটপট খাবারের সাথে দারুণ ঝাল স্বাদ এনে দেবে।

নাগা মরিচের আচার শুধু স্বাদে ঝালই নয়, এতে রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও। এখানে নাগা মরিচের কিছু হেলথ বেনিফিট উল্লেখ করা হলো:

  1. মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক: নাগা মরিচে ক্যাপসাইসিন থাকে, যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং দ্রুত ক্যালরি পোড়ায়।

  2. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: এর তীব্র ঝালের কারণে নাগা মরিচ ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে।

  3. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: নাগা মরিচে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সাধারণ সর্দি, কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

  4. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে: ঝাল খাবার রক্তনালীর প্রসারণ ঘটিয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো হতে পারে।

  5. ব্যথা উপশমে কার্যকর: ক্যাপসাইসিন ব্যথা উপশমকারী হিসেবে কাজ করে, যা স্নায়ু থেকে ব্যথার অনুভূতি হ্রাস করতে সাহায্য করে।

  6. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: ঝাল খাওয়ার পর শরীরে এন্ডোরফিন ও ডোপামিন হরমোনের নিঃসরণ হয়, যা মন ভালো রাখতে এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, নাগা মরিচের আচার ব্যবহারে খাবারে কোনও অতিরিক্ত তেল বা মশলা ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না, যা স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরিতে সহায়ক।

Term And Condition...

সালটা ২০২০ এর মার্চ। করোনার ভয়াল থাবায় সারা পৃথিবী বন্ধ হয়ে আছে। সবাই প্রায় গৃহবন্দী সকল অফিস, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় অচল। আমাদের একটা বিজনেস মাত্র আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু করোনার জন্য হঠাৎ করেই অমানিশার মাঝে পড়ে গেলাম।

ঢাকা শহরের জীবন, দম নিলেও টাকার দরকার পড়ে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়না। কি হবে কি হবে ভেবেই দিন যাচ্ছে। আমরা হাসবেন্ড-ওয়াইফ দুইজন মিলে প্রতিটি দিন প্লান করি যে চলমান বিজনেস টা যদি অফ হয়ে যায় তাহলে কি করবো। আমার বেটার হাফ এর মন খুবই খারাপ কেননা এই কস্টের সময়ে সে আমাকে কোন সাহায্য করতে পারছেনা। পরে আমরা দুইজনেই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেই,  যেহেতু ও খুব ভালো রান্না করে এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা হোমমেড ফুড অনলাইনে সেল করতে পারি।

যা ভাবা সেই মত শুরু করলাম। প্রথমে এটা ওটা যখন যা মনে হয় ওটাই বানাই ছবি তুলে হোমমেড ফুড এর একটা অনলাইন প্লাটফর্ম আছে ওখানে পোস্ট দেই। সপ্তাহে দুইচার টা অর্ডার পাই কিন্তু তাতে মন ভরেনা। ভাবি এভাবেই চললে বড়  কিছুই হবেনা। এভাবেই প্রায় ৪-৫ মাস চলার পরে ২০ জুলাই ২০২০ এ আমরা ফেসবুকে একটা পেজ খুলার সিদ্ধান্ত নেই।  ওখানে বিভিন্ন খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় উদ্যোক্তা দের ফেসবুক গ্রুপগুলো তে খাবারের পোস্ট শেয়ার করতে থাকি। ওখান থেকে কিছু কিছু অর্ডার আসতে থাকে। কিন্তু মাথায় শুধু একটাই চিন্তা এই ব্যাবসা কে কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। যেহেতু আমার আগের বিজনেস টার সুবাদে ফেসবুক এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কিছু ধারণা ছিল এটাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করি। কিন্তু মনে মনে ভাবি যে বিজ্ঞাপন দিয়ে কি খাবার সেল হবে কিনা? তবুও টেস্ট করতে চাইলাম। আমাদের সবচে জনপ্রিয় বা সিগনেচার আইটেম চিংড়ি বালাচাও টার একটা বিজ্ঞাপন রেডি করলাম। এর মাঝামাঝি আমি নতুন চাকরি খুজছি সারভাইভাল এর জন্য। কারন ফ্যামিলি নিয়ে তো টিকে থাকতে হবে। 

যাই হোক কোনরকমে কিছু টাকার ম্যানেজ করে ফেসবুকে এড দেই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো সাড়া আসতে থাকে। তবে এই বিজনেস টা এতদুর আসার জন্য আমার ওয়াইফ এর অনেক স্যাক্রিফাইস আছে। ও আমার পাশে না থাকলে কখনোই এই পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিলনা।  জীবনের কঠিন মুহুর্ত গুলোতে যদি আপনার পাশে একজন ভালো পার্টনার থাকে তাহলে আপনি সব পারবেন।

প্রথমে আমরা চিংড়ি  বালাচাও দিয়েই শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট যুক্ত হয়েছে।
তবে সর্বপরি একটা কথা বলতেই হবে আমাদের কাস্টমার দের সাপোর্ট সবসময় আমাদের সাথেই ছিল। আপনারা ও আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এতদূর আসতে সাহস যুগিয়েছে। আমরা সব সময় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের ভুল ভ্রান্তি কে উপেক্ষা করে আমাদের পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

View All >>

You Might Also Like