0 item

৳ 0

whatsapp--v1

পিনাট বাটার-৪০০ গ্রাম (প্লেইন)

৳ 460
- +
Short Description

পুষ্টিগুণঃ

  1. প্রোটিন: পিনাট বাটার প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা পেশী গঠনে এবং শরীরের বিভিন্ন কোষের মেরামতে সহায়ক।

  2. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: এটি মনো এবং পলি-অসম্পৃক্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক।

  3. ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: পিনাট বাটারে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে, যা শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক।

  4. ফাইবার: এতে ফাইবারের উপস্থিতি রয়েছে, যা হজমে সহায়ক এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে পারে।

স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

  1. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: পিনাট বাটারে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

  2. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: উচ্চ প্রোটিন এবং ফাইবার থাকার কারণে এটি ক্ষুধা কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

  3. শক্তি বৃদ্ধি: পিনাট বাটার উচ্চ ক্যালোরি প্রদান করে, যা শারীরিক কাজকর্ম বা ব্যায়ামের সময় শক্তি জোগায়।

  4. রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ: গবেষণায় দেখা গেছে যে পিনাট বাটার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ব্যবহারের উপায়ঃ

  1. নাস্তা হিসেবে: পিনাট বাটার রুটি বা টোস্টে লাগিয়ে খাওয়া যায়। এটি ফলের টুকরা বা স্যান্ডউইচের সাথেও ভালোভাবে মিশে যায়।

  2. স্ন্যাকস হিসেবে: ক্র্যাকার বা সেলারির সাথে পিনাট বাটার একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

  3. ডেজার্টে: বিভিন্ন ডেজার্টে যেমন কুকি, ব্রাউনি, এবং স্মুদি তৈরিতে পিনাট বাটার ব্যবহার করা যায়।

সতর্কতাঃ

  • অ্যালার্জি: বাদাম অ্যালার্জির কারণে কিছু লোক পিনাট বাটার এড়িয়ে চলা উচিত।
  • পরিমিত খাওয়া: উচ্চ ক্যালোরি থাকার কারণে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

পিনাট বাটার একটি বহুমুখী এবং পুষ্টিকর খাবার যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে উপভোগ করা যেতে পারে।

Term And Condition...

সালটা ২০২০ এর মার্চ। করোনার ভয়াল থাবায় সারা পৃথিবী বন্ধ হয়ে আছে। সবাই প্রায় গৃহবন্দী সকল অফিস, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় অচল। আমাদের একটা বিজনেস মাত্র আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু করোনার জন্য হঠাৎ করেই অমানিশার মাঝে পড়ে গেলাম।

ঢাকা শহরের জীবন, দম নিলেও টাকার দরকার পড়ে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়না। কি হবে কি হবে ভেবেই দিন যাচ্ছে। আমরা হাসবেন্ড-ওয়াইফ দুইজন মিলে প্রতিটি দিন প্লান করি যে চলমান বিজনেস টা যদি অফ হয়ে যায় তাহলে কি করবো। আমার বেটার হাফ এর মন খুবই খারাপ কেননা এই কস্টের সময়ে সে আমাকে কোন সাহায্য করতে পারছেনা। পরে আমরা দুইজনেই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেই,  যেহেতু ও খুব ভালো রান্না করে এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা হোমমেড ফুড অনলাইনে সেল করতে পারি।

যা ভাবা সেই মত শুরু করলাম। প্রথমে এটা ওটা যখন যা মনে হয় ওটাই বানাই ছবি তুলে হোমমেড ফুড এর একটা অনলাইন প্লাটফর্ম আছে ওখানে পোস্ট দেই। সপ্তাহে দুইচার টা অর্ডার পাই কিন্তু তাতে মন ভরেনা। ভাবি এভাবেই চললে বড়  কিছুই হবেনা। এভাবেই প্রায় ৪-৫ মাস চলার পরে ২০ জুলাই ২০২০ এ আমরা ফেসবুকে একটা পেজ খুলার সিদ্ধান্ত নেই।  ওখানে বিভিন্ন খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় উদ্যোক্তা দের ফেসবুক গ্রুপগুলো তে খাবারের পোস্ট শেয়ার করতে থাকি। ওখান থেকে কিছু কিছু অর্ডার আসতে থাকে। কিন্তু মাথায় শুধু একটাই চিন্তা এই ব্যাবসা কে কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। যেহেতু আমার আগের বিজনেস টার সুবাদে ফেসবুক এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কিছু ধারণা ছিল এটাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করি। কিন্তু মনে মনে ভাবি যে বিজ্ঞাপন দিয়ে কি খাবার সেল হবে কিনা? তবুও টেস্ট করতে চাইলাম। আমাদের সবচে জনপ্রিয় বা সিগনেচার আইটেম চিংড়ি বালাচাও টার একটা বিজ্ঞাপন রেডি করলাম। এর মাঝামাঝি আমি নতুন চাকরি খুজছি সারভাইভাল এর জন্য। কারন ফ্যামিলি নিয়ে তো টিকে থাকতে হবে। 

যাই হোক কোনরকমে কিছু টাকার ম্যানেজ করে ফেসবুকে এড দেই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো সাড়া আসতে থাকে। তবে এই বিজনেস টা এতদুর আসার জন্য আমার ওয়াইফ এর অনেক স্যাক্রিফাইস আছে। ও আমার পাশে না থাকলে কখনোই এই পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিলনা।  জীবনের কঠিন মুহুর্ত গুলোতে যদি আপনার পাশে একজন ভালো পার্টনার থাকে তাহলে আপনি সব পারবেন।

প্রথমে আমরা চিংড়ি  বালাচাও দিয়েই শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট যুক্ত হয়েছে।
তবে সর্বপরি একটা কথা বলতেই হবে আমাদের কাস্টমার দের সাপোর্ট সবসময় আমাদের সাথেই ছিল। আপনারা ও আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এতদূর আসতে সাহস যুগিয়েছে। আমরা সব সময় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের ভুল ভ্রান্তি কে উপেক্ষা করে আমাদের পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

View All >>

You Might Also Like