0 item

৳ 0

whatsapp--v1

আলুবোখারার চাটনি (৪৮০ গ্রাম)

৳ 490
- +
Short Description

আলুবোখারা আচার একটি টক-মিষ্টি ও সুস্বাদু আচার, যা ঐতিহ্যবাহী স্বাদের সঙ্গে আধুনিকতার মিশ্রণ এনে দেয়। সতেজ ও পুষ্টিকর আলুবোখারা ফল থেকে তৈরি এই আচারটি মুখরোচক স্বাদে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক টক-মিষ্টি স্বাদ, যা প্রতিটি খাবারের সঙ্গে দারুণ মানানসই। আমাদের আলুবোখারা আচার প্রস্তুত হয় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে এবং এতে কোনো কৃত্রিম সংরক্ষক ব্যবহার করা হয়নি। 

এই আচার বিরিয়ানী, ভাত, পরোটা, খিচুড়ি, অথবা স্ন্যাকসের সঙ্গে পরিবেশন করে যে কোনো খাবারকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যকর এবং হালকা মিষ্টি  সহ টক স্বাদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়।

আলুবোখারা আঁচারের স্বাস্থ্য উপকারিতা

আলুবোখারা আচার শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এই আচারের নিয়মিত সেবনে পাওয়া যায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা:

  1. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: আলুবোখারায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকালস দূর করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  2. হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে: আলুবোখারায় থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমের জন্য খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

  3. ত্বকের জন্য উপকারী: এতে থাকা ভিটামিন C ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।

  4. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: আলুবোখারায় পটাসিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

  5. ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে: এতে উপস্থিত ভিটামিন K ও ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ও অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়।

এইসব উপকারিতার কারণে আলুবোখারা আচার শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং এটি স্বাস্থ্য রক্ষায়ও সহায়তা করে।

Term And Condition...

সালটা ২০২০ এর মার্চ। করোনার ভয়াল থাবায় সারা পৃথিবী বন্ধ হয়ে আছে। সবাই প্রায় গৃহবন্দী সকল অফিস, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় অচল। আমাদের একটা বিজনেস মাত্র আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু করোনার জন্য হঠাৎ করেই অমানিশার মাঝে পড়ে গেলাম।

ঢাকা শহরের জীবন, দম নিলেও টাকার দরকার পড়ে। অপেক্ষার পালা শেষ হয়না। কি হবে কি হবে ভেবেই দিন যাচ্ছে। আমরা হাসবেন্ড-ওয়াইফ দুইজন মিলে প্রতিটি দিন প্লান করি যে চলমান বিজনেস টা যদি অফ হয়ে যায় তাহলে কি করবো। আমার বেটার হাফ এর মন খুবই খারাপ কেননা এই কস্টের সময়ে সে আমাকে কোন সাহায্য করতে পারছেনা। পরে আমরা দুইজনেই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেই,  যেহেতু ও খুব ভালো রান্না করে এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা হোমমেড ফুড অনলাইনে সেল করতে পারি।

যা ভাবা সেই মত শুরু করলাম। প্রথমে এটা ওটা যখন যা মনে হয় ওটাই বানাই ছবি তুলে হোমমেড ফুড এর একটা অনলাইন প্লাটফর্ম আছে ওখানে পোস্ট দেই। সপ্তাহে দুইচার টা অর্ডার পাই কিন্তু তাতে মন ভরেনা। ভাবি এভাবেই চললে বড়  কিছুই হবেনা। এভাবেই প্রায় ৪-৫ মাস চলার পরে ২০ জুলাই ২০২০ এ আমরা ফেসবুকে একটা পেজ খুলার সিদ্ধান্ত নেই।  ওখানে বিভিন্ন খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকি। পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় উদ্যোক্তা দের ফেসবুক গ্রুপগুলো তে খাবারের পোস্ট শেয়ার করতে থাকি। ওখান থেকে কিছু কিছু অর্ডার আসতে থাকে। কিন্তু মাথায় শুধু একটাই চিন্তা এই ব্যাবসা কে কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। যেহেতু আমার আগের বিজনেস টার সুবাদে ফেসবুক এর বিজ্ঞাপন সম্পর্কে কিছু ধারণা ছিল এটাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করি। কিন্তু মনে মনে ভাবি যে বিজ্ঞাপন দিয়ে কি খাবার সেল হবে কিনা? তবুও টেস্ট করতে চাইলাম। আমাদের সবচে জনপ্রিয় বা সিগনেচার আইটেম চিংড়ি বালাচাও টার একটা বিজ্ঞাপন রেডি করলাম। এর মাঝামাঝি আমি নতুন চাকরি খুজছি সারভাইভাল এর জন্য। কারন ফ্যামিলি নিয়ে তো টিকে থাকতে হবে। 

যাই হোক কোনরকমে কিছু টাকার ম্যানেজ করে ফেসবুকে এড দেই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো সাড়া আসতে থাকে। তবে এই বিজনেস টা এতদুর আসার জন্য আমার ওয়াইফ এর অনেক স্যাক্রিফাইস আছে। ও আমার পাশে না থাকলে কখনোই এই পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিলনা।  জীবনের কঠিন মুহুর্ত গুলোতে যদি আপনার পাশে একজন ভালো পার্টনার থাকে তাহলে আপনি সব পারবেন।

প্রথমে আমরা চিংড়ি  বালাচাও দিয়েই শুরু করি। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বেশ কিছু প্রোডাক্ট যুক্ত হয়েছে।
তবে সর্বপরি একটা কথা বলতেই হবে আমাদের কাস্টমার দের সাপোর্ট সবসময় আমাদের সাথেই ছিল। আপনারা ও আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এতদূর আসতে সাহস যুগিয়েছে। আমরা সব সময় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের ভুল ভ্রান্তি কে উপেক্ষা করে আমাদের পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

View All >>

You Might Also Like